অনলাইন ডেস্ক ::
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘মত প্রকাশে গণমাধ্যম এখন পুরোপুরি স্বাধীন। তাই আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে বহিরাগতরা হস্তক্ষেপ করতে না পারে। এজন্য আপনাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেলফ সেন্সরশিপ প্রয়োগ করতে হবে। ’
আজ রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ পরিবেশনে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তিনি আরও বলেন, সংবাদ ও মতামত পরিবেশনে দেশ ও জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা বজায় রাখতে হবে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার এ ব্যাপারে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের কষ্টার্জিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিকাশে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিরাট দায়িত্ব রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ যে কোন সংবাদের ব্যাপারে গুণগত মান ও বস্তুনিষ্ঠতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে গণমাধ্যম সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দেশ চালাতে সরকারকে সহায়তা করতে পারে।
দৈনিক সংবাদের সম্পাদক এবং কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রয়াত স্বামী বজলুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বজলু ভাই ছিলেন একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক। গণমানুষের অধিকার এবং অসম্প্রদায়িক ও ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ প্রতিষ্ঠায় তিনি সারা জীবন লড়াই করে গেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, জিয়াউদ্দিন তারিক আলী।
পাঠকের মতামত: